
দুর্নীতি মামলায় কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের মহানুভবতায় বুধবার (২৫ মার্চ) শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন। তার কারামুক্তির খবরে দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও একটিবারের জন্য খোঁজ নেননি বিএনপি চেয়ারপারসনের এক সময়ের উপদেষ্টা ও দুর্নীতিগ্রস্ত পলাতক ব্যবসায়ী মোসাদ্দেক আলী ফালু। এমনকি পরবর্তীতে খালেদা তার বাসভবন ফিরোজাতে গেলেও তিনি ফোন করে খবর নেননি। তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি দেশের বাইরে আছেন। যে কারণে মুক্তির আগে-পরে বিএনপি নেত্রীর আশেপাশে দেখা যায়নি তাকে। তবে বিদেশে থেকে টেলিফোনে খোঁজ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ফালু তেমনটা করেছেন বলে জানেন না খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠরা। এনিয়ে দলের নেতাদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। তাদের প্রশ্ন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় থাকতে সব ধরনের ব্যবসায়িক সুবিধা নেওয়া মোসাদ্দেক আলী ফালু দলের দুঃসময়ে কোথায় আছেন? দল ক্ষমতায় থাকতে যিনি সব সময় বেগম জিয়ার ছায়াসঙ্গী ছিলেন, দলের প্রতি কি তার কোনো দায়িত্ব নেই? অথচ দলীয় ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার করেছেন। টিভি চ্যানেলের মালিক হয়েছেন। এখন সহায়-সম্পদ রক্ষায় তিনি যেভাবে দূরে দূরে থাকছেন, তা স্বার্থপরতার দৃষ্টান্ত হয়ে রইছে।
নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত বা যোগাযোগের বিষয়ে বিধি নিষেধ রয়েছে। করোনার সংক্রমণ এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত। তবে এরমধ্যেই কেউ কেউ খালেদা জিয়ার সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার তিনমাস পার হলেও খোঁজ নেই একসময়ের প্রভাবশালী নেতা ও খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ মোসাদ্দেক আলী ফালুর।
শুধু তাই নয়, দুর্নীতির মামলায় দুইবছরেরও বেশি সময় সাজাভোগ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি মেলায় আপাতত স্বস্তি ফিরেছে নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে। তবে একসময়ের জিয়া পরিবারে ঘনিষ্ঠতার কারণে প্রভাবশালী হয়ে ওঠা ফালু এ নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চুপ। তার কোনো প্রতিক্রিয়া বা বিএনপি প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো তথ্য নেই কারো কাছে।
আপনার মতামত লিখুন :