
করোনাভাইরাস মহামারীকালে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের মতো তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়েও উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। চলতি অগাস্ট মাসের ১৫ দিনেই ১৫০ কোটি ৭০ লাখ (১.৫০ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের অগাস্ট মাসের একই সময়ের চেয়ে ২৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সোমবার রাতে এই তথ্য জানিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স, আমদানি, রপ্তানি আয়সহ আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে আমাদের অর্থনীতি আস্তে আস্তে আগের শক্তি ফিরে পাবে।
“এই সূচকগুলোর ইতিবাচক ধারা আমাদের সাহস জোগাচ্ছে; আমরা সাহসিকতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করতে পারব বলে আশা করছি।”
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে পোশাক রপ্তানিকারকরা বলছেন, আগামী ডিসেম্বরের বড়দিনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক থেকে।
কোভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা বাংলাদেশে লাগতে শুরু করার পর গত এপ্রিলে পোশাক রপ্তানি কমে মাত্র ৩৬ কোটি ডলারে নেমে এসেছিল, যা ছিল গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম।
বিধিনিষেধ শিথিল করে মে মাসে কলকারখানা চালু করা হয়। ওই মাসে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছিল ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবৃদ্ধি কমেছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক পণ্য রপ্তানি দশমিক ৬ শতাংশ বাড়লেও পোশাক রপ্তানি কমে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে অগাস্টে পোশাকের পালে হাওয়া দেখা যাচ্ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গত ৪ অগাস্ট রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১ কোটি (৩.৯১ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।
এই অঙ্ক গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। জুলাই মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৩৪৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :