
আসন্ন উপনির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসন্ন উপনির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আশা করবো তারা গণ্ডগোল পাকানোর জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
‘আমরা অতীতে দেখেছি তারা যখনই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসিকতা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। আশা করি, তারা এবার সেই পথে হাঁটবেন না। আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এটিই আমাদের কামনা’ মন্তব্য করে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলা ও বাঙালির হৃদয়ে লেখা নাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। শুধু যুদ্ধাপরাধীকে কি ক্ষমা করেছে? জিয়াউর রহমান সন্ত্রাসকেও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেভেন মাডারের আসামি, তারা এখন বিএনপি জোটের সদস্য। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিল। তারা আজকে আবার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলে। যাদের দলটি সন্ত্রাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তারা আজকে সন্ত্রাস, গুম, খুন নিয়ে কথা বলে। গুম-খুনের রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপির প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমেই জিয়াউর রহমানের উত্থান এবং রাজনৈতিকভাবে তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন। এরপরে হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রেখে তিনি তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করেন। সেই ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন বেগম জিয়া।
লায়ন ইঞ্জিনিয়ার হামিদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা পরিষদ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফুলু সরকার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এইচ এম সোলায়মান চৌধুরী সুজন প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশ চায়নি, যারা এ রাষ্ট্র চায়নি, সেই আন্তর্জাতিক শক্তি এবং দেশীয় শক্তি যৌথভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। হত্যাকাণ্ডের প্রধান কৌঁসুলি ছিল খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। খন্দকার মোশতাক প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র করেছে আর জিয়াউর রহমান প্রকাশ্যে না এসে কলকাঠি নেড়েছে। আজকে সমস্ত কিছু দিবালোকের মতো স্পষ্ট হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনারা দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানকে লেখা কর্নেল বেগের চিঠি।
কর্নেল বেগ চিঠিতে জিয়াউর রহমানকে বলছেন, ‘তুমি খুব ভালো কাজ করছো। তোমার কাজকর্মে আমরা সন্তুষ্ট। তোমার স্ত্রী-পুত্র নিয়ে চিন্তা করিও না। তারা ভালো আছে। তবে মেজর জলিল সম্পর্কে একটু সতর্ক থাকিও। ’ এই যে লেখা এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, জিয়াউর রহমান আসলে অনুপ্রবেশকারী মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন। পাকিস্তানিদের গুপ্তচর হিসেবে অনুপ্রবেশকারী মুক্তিযুদ্ধ ছিল জিয়াউর রহমান। না হয় কর্নেল বেগ কীভাবে এই চিঠি লেখে।
আপনার মতামত লিখুন :