
শুধু ইরফান সেলিম নয় ক্ষমতাসীন দলের কিছু জনপ্রতিনিধি ও তাদের স্বজনদের কর্মকাণ্ডে বিব্রত আওয়ামী লীগ নেতারাও। তবে এ ব্যাপারে সরকার ও দলের পদক্ষেপ বা অবস্থানে সন্তুষ্ট তারা। বঙ্গবন্ধু কন্যা বিব্রত হন এমন কাজ থেকে বিরত থাকতেও তারা নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
রবিবার রাতে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় এমপি পুত্র ইরফান সেলিমের গ্রেপ্তার পরে সাজা। ইরফান সংসদ সদস্য সেলিমের পুত্র ছাড়াও নিজেও একজন জনপ্রতিনিধি। দলের নেতারা বলছেন তার এরকম কর্মকান্ডে বিব্রত আওয়ামী লীগ।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব:) ফারুক খান বলেন,’কিছু কিছু জনপ্রতিনিধির অতিরঞ্জিত কর্মকাণ্ডের কারণে রাজনীতিবিদ হিসেবে আমরা একটু বিব্রত। যে কোন পর্যায়ের যে কোন নেতা, আইন বিরোধী কাজ যদি করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
দলের অন্য নেতারা বলছেন, দলের ক্ষমতা অপব্যবহার করলে ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোন না কেন এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দলের সভাপতি শেখ হাসিনার। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন,’যে কোন অন্যায়কারী অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে। সে দলের নেতা বা কর্মী সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। যে অন্যায় করবে তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। শান্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন জানান,’শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়, রাষ্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতায় কোন দুর্নীতি, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি আশ্রয়-প্রশ্রয় পাইনি, পাবেও না। উনি কাউকেও রেহায় দেন না।’
তারা বলেন, সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর। দল নয় যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে এটি দলের অন্যদের জন্য একটি বড় বার্তা।
আপনার মতামত লিখুন :