
দীর্ঘ ৭ মাস বন্ধ থাকার পর রোববার (০১ নভেম্বর) থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে পর্যটকরা প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী (ইউএনও) সত্যজিৎ রায় দাশ জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৯ মার্চ এ পর্যটন স্পটটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে গত আট মাস ধরে পর্যটক না আসায় বনটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পুরোপুরিভাবে ফিরে পেয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্ধের আগে সাতছড়িতে প্রতিদিন আড়াই থেকে পাঁচ হাজার পর্যটক আসতেন। বয়স্কদের টিকিট বিক্রি হতো ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২৫ টাকা।
১৯১২ সালে প্রায় ১০ হাজার একর দুর্গম পাহাড়ি জমি নিয়ে গঠিত রঘুনন্দন হিলস্ রিজার্ভই সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পরিণত হয়েছে। ২০০৫ সালে ৬০০ একর জমিতে জাতীয় উদ্যান করা হয়। এ উদ্যানের ভেতরে রয়েছে অন্তত ২৪টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস। রয়েছে বন বিভাগের লোকজন। পর্যটকদের জন্য রয়েছে প্রজাপতি বাগান, ওয়াচ টাওয়ার, হাঁটার ট্রেইল, খাবার হোটেল, রেস্ট হাউস, মসজিদ, রাত্রিযাপনে স্টুডেন্ট ডরমিটরি।
উদ্যানে দুই শতাধিক প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে শাল, সেগুন, আগর, গর্জন, চাপালিশ, পাম, মেহগনি, কৃষ্ণচূড়া, ডুমুর, জাম, জামরুল, সিধা জারুল, আওয়াল, মালেকাস, আকাশমনি, বাঁশ, বেত ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
১৯৭ প্রজাতির জীব-জন্তুর মধ্যে প্রায় ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৬ প্রজাতির উভচর। আরো আছে প্রায় ২০০ প্রজাতির পাখি। রয়েছে লজ্জাবতী বানর, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, শিয়াল, কুলু বানর, মেছো বাঘ, মায়া হরিণের বিচরণ। সরীসৃপের মধ্যে আছে কয়েক জাতের সাপ। কাও ধনেশ, বন মোরগ, লাল মাথা ট্রগন, কাঠঠোকরা, ময়না, ভিমরাজ, শ্যামা, ঝুটিপাঙ্গা, শালিক, হলদে পাখি, টিয়া প্রভৃতির আবাসস্থল এই উদ্যান।
আপনার মতামত লিখুন :